সুস্থ থাকার জন্য ৫টি সহজে পরামর্শ

সুস্থ থাকার জন্য ৫টি সহজে পরামর্শঃ স্বাস্থ কিন্তু অনেকটা টাকা পয়সার মতো, যতক্ষণ না আমরা সেটা হারিয়ে ফেলি, ততক্ষণ অব্দি আমরা সেটার আসল মূল্যটা বুঝতে পারি না। কখনো শরীরে কোন বড় সমস্যা দেখা দিলে তখনই আমাদের মাথায় আসে। না এবার ঠিকঠাক শরীরের যত্ন নিতে হবে। সমস্যাটা হওয়ার আগে থেকে যত্ন নিতে শুরু করলে কিন্তু শরীর খারাপের এই কষ্টটা ভোগ করতে হয় না।

সুস্থ থাকার জন্য ৫টি সহজে পরামর্শ

সারাদিনে আপনি যতটা সময় আপনার এই ফোনের পিছনে নষ্ট করেন। সেই টাইমার এনার্জি যদি আপনি নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার পিছনে লাগাতে পারেন, তাহলেই আপনার লাইফ কতটা বেটার হতে পারে আপনার কোন ধারনা নেই। আর সেই কারণেই আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে সুস্থ থাকার জন্য পাঁচ টি খুবই সহজ টিপস শেয়ার করব। যে গুলো ফলো করা একদম সহজ আর এগুলার বেনিফিট চোখে পড়ার মতো।

বাম সাইডে ঘুমানো

বাম সাইডে ঘুমানো

আমাদের সবসময় উচিত গঠন অনুযায়ী বাম দিকে ফিরে শুলে পাকড়াশী বলি পেটের মধ্যে বিভিন্ন রকম অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে বদহজম, রক্ত চলাচলে সমস্যা হৃদপিন্ডের প্রদাহ বিভিন্ন রকম অসুখ দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের ডান দিকে ঘুমানো উচিৎ, কারোন সেখানে পাকস্থলীর গঠন অনুযায়ী পাকড়াশী গুলি সঠিকভাবে তাদের কাজ করতে পারে এবং যার ফলে হজম ভালো হয়।

নিয়মিত পানি খাওয়া

নিয়মিত পানি খাওয়া

আমরা অনেকেই জল খাওয়ার কথাটা একদম ভুলেই যাই। শুধু যখন জল তেষ্টা পায় তখন একটু জল খাই, যেটা আমাদের শরীরের পক্ষে একদমই ভালো না। একটা অ্যাপ রয়েছে ওয়াটার ড্রিংক রিমাইন্ডার নামে। এই অ্যাপ আপনার সমস্যা সমাধান করে দিতে পারে। আপনি সারাদিনে কতটা জল খেলেন এবং ঠিক কখন খেলেন সেটার হিসেব তো রাখতে পারবে। তার সাথে এই অ্যাপ আপনার সময় মত নোটিফিকেশন দিয়ে আপনাকে জল খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেবে।

নিয়মিত হাটা

নিয়মিত হাটা

W.H.O অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর রিকমেন্ডেশন অনুযায়ী সুস্থতা আমাদের রোজ 8000 স্টেপ হাটা উচিত। আপনি ডেইলি অনাবৃত স্টেপ কাটিং এর বেশিরভাগই হয়তো সঠিকভাবে বলতে পারবেন না। আপনি রোজ কত স্টেপ করে হাঁটছেন, সেটা মাপার জন্য আপনি একটা ফিটনেস ট্র্যাকার ইউজ করতে পারেন। আমি নিজে পার্সোনালি এমআই ব্যান্ড 2 তারিখ প্রেডিকশন টা ইউজ করি। হাঁটার জন্য শুধু বিভিন্ন বাহানা খুঁজে বের করবেন, যেমনঃ সিঁড়ি ব্যবহার করুন, মাঝে মাঝে ঘরের মধ্যেই পায়চারি করবেন।

খাবার চিবিয়ে খাওয়া

খাবার চিবিয়ে খাওয়া

আইয়ুবেতে বলা হয়েছে যে কোন রোগের মূল কারণ হল আমাদের পেট। যদি আমরা আমাদের পেটকে হেলদি রাখতে পারি তাহলে অটোমেটিকালি আমাদের শরীলো হেলদি থাকবে। আর পেট ঠিক রাখার জন্য যে দু’টো জিনিস মেইন দরকার

  1. জাঙ্কফুড না খাওয়া
  2. হজমশক্তি ভালো রাখা

এই দুটো জিনিসএই আপনাকে ভীষণ ভাবে সাহায্য করবে। যেকোনো জাঙ্কফুড সেটা যদি আপনি 32 বার চিবিয়ে খান, তাহলে আপনি দেখবেন ওই জাঙ্কফুড টা খেতে একদমই ভালো লাগছেনা। কিন্তু কোন হেলদি খাবার আপনি যত চিবিয়ে খাবেন ততো ভালো লাগবে। যদি আপনি এটা অভ্যাস করে ফেলতে পারেন তাহলে তখন অটোমেটিক আপনার যান ফুট খেতে ইচ্ছা করবে না।

আর অন্যদিকে আমাদের হজম প্রণালী ফিফটি পার্সেন্ট হজম মুখের ভিতর খাবারটা থাকাকালীনই হয়ে যাওয়ার কথা। বাকি ফিফটি পার্সেন্ট পেটে গিয়ে হয়। আর খাবার তাড়াতাড়ি গিলে ফেললে কাজটা ঠিকমতো হওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে বিভিন্ন রকম হজমের গোলমাল দেখা দিতে শুরু করে। তাই যে কোন খাবার একটু কষ্ট করে ৩২ বার চিবানোর অভ্যাস করে নিলেই আমরা এই সমস্যাটা খুব সহজেই সমাধান করে ফেলতে পারব।

হেলদি এনভারমেন্ট

হেলদি এনভারমেন্ট

যদি আমাদের কাছের বন্ধু বান্ধবীরা সব এরকম হয় যারা সারাদিন জাঙ্কফুড খেয়ে বেড়ায় লেখাটা তাদের কাছে একটা কুল ব্যাপার। আর এক্সেসাইজ করাটা বোরিং সারাদিনে হয় তো দশ-বারোটা করেছি সিগারেট সাথে মাঝে মাঝেই রঙিন জলের পার্টি।

তারা সবাই যদি এরকম লাইফস্টাইলস করে তাহলে তাদের সাথে মিশে তাদের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য সেরকম কাজগুলো করায় আপনার জন্য স্বাভাবিক। অন্যদিকে আপনার কাছের বন্ধুবান্ধবরা যদি স্বাস্থ্য সচেতন হয় যার অধিক এক্সারসাইজ করে জাঙ্কফুড যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করে। তাহলে আপনার পক্ষে সেরকম লাইফস্টাইলে টপ করাটাই স্বাভাবিক।

তাই নিজের সব থেকে কাছের ৫ জন মানুষ যাদের সাথে আপনি সারাদিনে সবথেকে বেশি টাইম স্পেন্ট করেন। এরকম ভাবে চুপ করুন যারা স্বাস্থ্যসচেতন যরা বোঝে যে হেলথ ইজ দা রিয়েল ওয়েথ এবং সেটা প্র্যাকটিস করে। এছাড়া যদি আপনার ঘরে ফ্রিজ কাদা কাদা জাঙ্কফুড যেমন ক্যাডবেরি বা কোলড্রিংস বোধহয় পড়ে থাকে তাহলে সেটা করা বন্ধ করুন।

কারণ ঘরেই যদি জামপুর ভর্তি থাকে তাহলে এরকম এনভারমেন্ট নিজেকে হেলদি রাখার চেষ্টা করাটা বৃথা। কারণ সেটা অনেকটা কষ্ট সাপেক্ষ হয়ে পড়বে। তাই নিজের চারিদিকে এরকম একটা হেলদি এনভারমেন্ট করুন যেটা আপনাকে একটা হেলদি লাইফ স্টাইল লিড করতে মটিভেট করবে।

নিজের চারিদিকে একটা সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলুন। সবশেষে আপনার কাছে একটা ছোট্ট অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার নিজের জীবনের কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে সত্যি এতোটুকু কোন সাহায্য হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টটি আপনার বন্ধু এবং বান্ধবী দের সাথে শেয়ার করুন। কারণ শেয়ার করে আপনিও কারো জীবন বদলে দিতে সাহায্য করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *